১. কর্মী/ব্যক্তি পর্যায়ের আদর্শমান
মডেল ফার্মেসীর মালিক এবং কর্মচারীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
১.১ মালিক
প্রতিটি মডেল ফার্মেসীর মালিকের নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকা আবশ্যক:
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- ট্যাক্স সনাক্তকরণ নম্বর (টি আই এন)
- ট্রেড লাইসেন্স
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল হতে প্রাপ্ত পেশাগত নিবন্ধন সনদ।
প্রতিটি মডেল ফার্মেসীর মালিকের করণীয়:
- মডেল ফার্মেসীতে নিয়োগকৃত সকল কর্মীর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা;
- ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এরূপ স্থানে রাখা;
- ফার্মেসীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্টের নাম এবং পেশাগত নিবন্ধন সনদ (ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট) সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এরূপ স্থানে রাখা;
- যদি মডেল ফার্মেসী স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে যে উক্ত ফার্মেসী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত ফার্মেসী পরিদর্শন করবে এবং ওষুধ ও অন্যান্য পণ্যের সঠিক নিষ্পত্তি করার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে;
- যদি মডেল ফার্মেসীকে সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে পুনরায় চালু করার সম্ভাব্য তারিখসহ অবহিত করতে হবে যে উক্ত ফার্মেসী সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উক্ত নোটিস ফার্মেসীর সম্মুখে দৃষ্টিগোচর হয় এরূপ স্থানে প্রদর্শিত থাকতে হবে। যদি উক্ত মডেল ফার্মেসী ০১ বছর বা তার বেশী সময়ের জন্য বন্ধ থাকে তবে পুনরায় ফার্মেসীকে সচল করার জন্য ওষুধ প্রশাসনে নতুনভাবে আবেদন করতে হবে;
- ফার্মেসীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুমোদিত কর্মীদের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হলে বা দায়িত্বরত ফার্মাসিস্টকে তার চুক্তি হতে অব্যহতি দিলে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে ০৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে;
১.২ ওষুধ ডিসপেন্সিং-এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষকর্মী
সকল ‘এ’ গ্রেড ও ‘বি’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট যারা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল র্কতৃক অনুমোদিত ৩০-ঘন্টার মডেল ফার্মেসী স্থাপন ও পরিচালনার ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ শেষ করবেন তারা মডেল ফার্মেসীতে কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সকল ’সি’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট (ফার্মেসী টেকিনিশিয়ান) যারা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল র্কতৃক অনুমোদিত ৮০-ঘন্টার মডেল মেডেসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনার ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ শেষ করবেন তারা ‘এ’ গ্রেড অথবা/এবং ‘বি’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরিচালিত মডেল ফার্মেসীতে কাজ করতে পারবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ¯কুল সার্টিফিকেটধারী প্রার্থী যারা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্র্তৃক অনুমোদিত ৮০-ঘন্টার মডেল মেডেসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনার ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ শেষ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তারাই ‘গ্রেড- সি’ ফার্মাসিস্ট (ফার্মেসী টেকনিশিয়ান) হিসেবে নিবন্ধিত হবেন।
যেসকল দক্ষকর্মী মডেল ফার্মেসীতে কাজ করবেন তাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
- সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা;
- ডিসপেন্সিং নির্দেশিকা, নীতিমালা ও ফার্মাসিউটিক্যাল সেবা/সার্ভিসের সাথে জড়িত অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা;
- প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের চলমান শিক্ষা সম্পন্ন করা;
- ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র ও পোশাকের কোড মেনে চলা;
১.৩ মডেল ফার্মেসীর রক্ষণাবেক্ষণ
- প্রতিটি মডেল ফার্মেসী বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্র্তৃক নিবন্ধিত ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরিচালিত হবে;
- মডেল ফার্মেসীতে কর্মরত ওষুধ ডিসপেন্সার (Dispenser)/ফার্মাসিস্ট অবশ্যই একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্টের তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন;
- মডেল ফার্মেসীতে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল হতে নিবন্ধিত নয় এরূপ কর্মী থাকতে পারবে তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট ছাড়া ডিসপেন্সিং কাজ চলবে না;
১.৪ মডেল ফার্মেসীর মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্টের মধ্যে চুক্তি
- প্রত্যেক মডেল ফার্মেসীর মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট অবশ্যই একটি আইনি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন;
- শর্তাবলীসহ প্রত্যেক পক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো চুক্তিপত্রে বর্ণনা/উল্লেখ করা থাকবে;
- মডেল ফার্মেসীর চুক্তির একটি সাধারণ রূপরেখা/টেম্পলেট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হতে প্রদান করা হবে।