Course Content
মডিউল-১
মডিউল-১, সেশন-২ঃ ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসি টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য
0/2
মডিউল-২
0/27
মডিউল-৪
0/21
মডিউল-৪, সেশন-৩ঃ ওষুধ প্রয়োগের পথ
0/8
মডিউল-৫
মডিউল-৫, সেশন-২ঃ শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই ক্রেতার নিকট বিক্রয়যোগ্য ওষুধসমূহ (Prescription Only Medicines)
0/13
মডিউল-৭
মডিউল-৭, সেশন-২ঃ এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হওয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে
0/7
মডিউল-৮ঃ গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিতিকরণের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিষ্ট/ ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট/ ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা
মডিউল-৮, সেশন-২ঃ করোনা সংক্রমণকালীন নিরাপদ ওষুধ ডিসপেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ
0/12
Private: Training Manual for Grade C Pharmacy Technicians
About Lesson

এপিএইচএ নীতিমালা ১৯৯৪: ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস

এপিএইচএ নীতিমালা ১৯৯৪: ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস

অ্যামেরিকান ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশনের (অ্যামেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল এসোসিয়েশন) সদস্য পদের মাধ্যমে অক্টোবর ২৭, ১৯৯৪ তারিখে ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস গ্রহণ করা হয়।

ফার্মাসিস্টগণ হচ্ছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবী যারা ব্যক্তি/ রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে সাহায্য করেন। এই কোড ফার্মাসিস্টদের দ্বারা তৈরি হয়েছে ও তাদের সমর্থনপুষ্ট। এই মূলনীতিসমূহ গঠিত হয়েছে নৈতিক বাধ্যবাধকতা ও গুণের উপর ভিত্তি করে, যা ফার্মাসিস্টদের রোগী, স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও সমাজের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পথ দেখাবে।

১। একজন ফার্মাসিস্ট, তার ও রোগীর মধ্যকার অর্জিত সম্পর্ককে সম্মান করবেন।

ফার্মাসিস্ট এবং রোগীর সম্পর্ক বিবেচনায় রেখে বলতে হয় যে একজন ফার্মাসিস্টের সমাজের কাছ থেকে পাওয়া উপহার স্বরূপ ‘বিশ্বাস’ রক্ষায় কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এই উপহারের পরিবর্তে তিনি প্রত্যেককে আলাদা ভাবে সাহায্য করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যাতে ওষুধ প্রয়োগের ফলে ব্যক্তি সর্বোচ্চ উপকার পায়। তারা রোগীদের কল্যাণ এবং বিশ্বাস ধরে রাখতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন।

২। একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর প্রতি য যত্নবান, দয়াশীল, বিশ্বস্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন

পেশাজীবী কাজের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে তিনি রোগীর সুস্থতার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হবেন। এটা করতে গিয়ে তিনি রোগীর উল্লেখিত প্রয়োজন ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে উল্লেখিত বিষয়কে বিবেচনা করবেন। তিনি রোগীর মর্যাদা রক্ষা করার জন্য নিজের মেধাকে উৎসর্গ করবেন। যত্নশীল মনোভাব ও সমব্যথীর উদ্দীপনা নিয়ে এবং গোপনীয়তা ও বিশ্বস্ততা বজায় রেখে তিনি রোগীকে সেবা দেয়ার লক্ষ্য স্থির করবেন।

৩। একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে সম্মান করবেন।

নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোগীকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তিনি ব্যক্তির আত্ম-সংকল্পের অধিকারকে তুলে ধরবেন ও আত্ম-সম্মান বজায় রাখার ব্যাপারে যত্নশীল হবেন। তিনি রোগীর সাথে বোধগম্যভাবে কথা বলবেন। তিনি সবক্ষেত্রে রোগীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক অবস্থানকে সম্মান করবেন ।

৪। পেশাজীবী হিসাবে একজন ফার্মাসিস্ট সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ করবেন।

দায়িত পালনের ক্ষেত্রে একজন ফার্মাসিস্ট সর্বদা সত্য কথা বলবেন ও বিবেকের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে কাজ করবেন। ফার্মাসিস্টের বৈষম্যমূলক আচরণ ও কাজ পরিহার করা উচিত যা পেশাজীবীত্বকে নষ্ট করে এবং কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে রোগীর স্বার্থের প্রতি অঙ্গীকারে আপোষ করে।

৫। একজন ফার্মাসিস্ট তার জ্ঞান ও পেশাজীবী দক্ষতা বজায় রাখবেন।

যেহেতু প্রতিনিয়ত নতুন ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি চলে আসছে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যেরও অগ্রগতি ঘটছে তাই একজন ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে যথাযথ জ্ঞান ধারণ করা এবং সেটাকে প্রতিনিয়ত শাণিত করা।

৬। একজন ফার্মাসিস্ট তার সহকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মূল্যবোধ ও সক্ষমতাকে শ্রদ্ধা করবেন।

যখন প্রয়োজন তখন তিনি সহকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীর কন্সালটেশন চান অথবা রোগীকে রেফার করেন। তিনি স্বীকার করেন যে রোগী দেখার ক্ষেত্রে সহকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ভিন্ন হতে পারে।

৭। একজন ফার্মাসিস্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সামাজিক প্রয়োজনে সেবা প্রদান করবেন।

ফার্মাসিস্টের প্রথম বাধ্যবাধকতা ব্যক্তি রোগীর প্রতি। কখনো কখনো ফার্মাসিস্টের বাধ্যবাধকতা ব্যক্তি রোগী থেকে কমিউনিটি ও সামাজিক দিকে সম্প্রসারিত হতে পারে। এরকম অবস্থায়, ফার্মাসিস্ট বাধ্যবাধকতার অনুগামী কর্তব্যসমূহ সনাক্ত করবেন ও সে অনুযায়ী কাজ করবেন।

৮। একজন ফার্মাসিস্ট স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পণ্য/উপকরণ/সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করবেন।

ক. যখন চিকিৎসা/স্বাস্থ্য বিষয়ক উপাদান সরবরাহ/বন্টন করা হয় তখন একজন ফার্মাসিস্ট নিরপেক্ষ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে রোগী ও সমাজের প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখেন।

Scroll to Top