প্যারাসিটামল
প্যারাসিটামল
প্যারাসিটামল একটি দ্রুত কার্যকর এবং নিরাপদ ব্যথানাশক যার জ¦র কমানোর উল্লেখযোগ্য গুণাবলি আছে।
কখন ব্যবহার করা যাবে
প্রায় সকল ব্যথার সমস্যা ও জ¦রের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- মাথাব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পিঠের বা কোমরের ব্যথা, বাতজনিত বা মাংসপেশীর ব্যথা, মাসিকের ব্যথা, গলার ব্যথা এবং ঠাণ্ডা, সর্দি-জ্বর, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
সতর্কতা
যাদের কিডনি/যকৃতের কার্যক্ষমতা কমে গেছে তাদের প্যারাসিটামল সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। সিরোটিক নয় এমন এলকোহল জনিত লিভারের সমস্যায় অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবনে ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যদি গর্ভবতী হন বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। যা করবেন না-
- উপদেশকৃত মাত্রার অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করবেন না;
- একই সাথে প্যারাসিটামল সমৃদ্ধ অন্য কোন ওষুধ সেবন করবেন না;
আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। যদি-
- লক্ষণ চিহ্ন বা উপসর্গগুলো চলে না যায়;
- যদি আপনার মাথাব্যথা স্থায়ী হয়ে যায়;
- আপনার হাটুর ব্যথায় প্রতিদিনই ব্যথানাশক সেবন করার প্রয়োজন হয়।
সেবনবিধি ও মাত্রা
ট্যাবলেট: পুর্ণবয়ষ্ক : ১-২ ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ বার।
সিরাপ/সাসপেনশন: ৪-৮ চামচ ৩-৪ বার প্রতিদিন।
শিশু (৬-১২ বছর): ২-৪ চামচ (পরিমাপক) দিনে ৩-৪ বার।
১ বছর পর্যন্ত: ১/২-১ চামচ (পরিমাপক) দিনে ৩-৪ বার।
শিশুদের জন্য ফোটা/ড্রপ
নবজাতক ও শিশু (০-৩ মাস) ০.৫ এমএল, ৪-১১ মাস – ১ এমএল, ১২ -২৩ মাস – ১.৫ এমএল, ২-৩ বছর – ২ এমএল, ৪-৫ বছর – ৩ এমএল দিনে ৪ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
সাপোজিটরি
১-৫ বছর : ১২৫-২৫০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
৬-১২ বছর : ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ
প্যারাসিটামলের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ সাধারণত মৃদু, যদিও রক্তে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, প্যানসাইটোপেনিয়া, নিউট্রোপেনিয়া এবং এগ্র্যানুলোসাইটোসিস হবার মত তথ্য জানা আছে। প্যানক্রিয়াটাইটিস ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জিও কখনো কখনো হতে পারে।
সংরক্ষণ
শুষ্ক ও শীতল স্থানে সংরক্ষণ করুন। সিরাপটি আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।