মেট্রানিডাজল ট্যাবলেট (বড়ি)/ সাসপেনশন
মেট্রানিডাজল ট্যাবলেট (বড়ি)/ সাসপেনশন
মেট্রানিডাজল প্রোটোজোয়া শ্রেণির পরজীবী জীবাণুর ক্ষেত্রে কার্যকর যেমন- ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজাইনালিস, এন্টামিবা হিসটোলাইটিকা, জিয়ারডিয়া ইনটেসটিনালিস, এবং এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়:
- রেচন ও প্রজনন তন্ত্রের ট্রাইকোমোনিয়াসিস (মহিলা ও পুরুষের ক্ষেত্রে);
- অন্ত্র কিংবা অন্ত্রের বাহিরের অ্যামিবিয়াসিস;
- জিয়ারডিয়াসিস;
- এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ;
- কারণ চিহ্নিত করা যায়নি এমন ভ্যাজাইনাইটিস;
- চাপজনিত ঘা বা এমন আলসার যেখানে বায়ু চলাচল নেই।
সেবনবিধি ও মাত্রা
ব্যবহারের কারণ |
চিকিৎসার সময় দিনে |
পুর্ণবয়ষ্ক ও ১০ বছরের বছরের শিশু |
শিশু ৭–১০ বছর |
শিশু ৩ –৭ বছর |
শিশু ১–৩ বছর |
অ্যামিবিক ডিসেন্টরি |
৫-১২ দিন অথবা |
৮০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
২০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার |
২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
২ দিন |
২ গ্রা. দিনে ১ বার |
||||
লক্ষণহীন অ্যামিবিয়াসিস |
৫-১০ দিন |
৪০০-৮০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
২০০-৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০-২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০-২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
হেপাটিক বা অন্ত্রের বাহিরের অ্যামিবিয়াসিস |
৫-১০ দিন অথবা |
৪০০-৮০০ মি. গ্রা. দিনে ৩ বার |
২০০-৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০-২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০-২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
২ দিন |
২-২.৪ গ্রা. দিনে ১ বার |
||||
জিয়ারডিয়াসিস |
৩ দিন |
২ গ্রাম দিনে ১ বার |
১ গ্রাম দিনে ১ বার |
৬০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার |
৫০০ মি.গ্রা দিনে ১ বার |
ট্রাইকোমোনিয়াসিস |
৭ দিন অথবা |
২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০ মি. গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার |
৫০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
২ দিন অথবা |
৮০০ মি. গ্রা. প্রতি সকালে ১.২ গ্রা. সন্ধ্যায় |
||||
১ দিন |
২ গ্রা. সন্ধ্যায় |
||||
ভিন্সেন্টইনফেকশন |
৩ দিন |
২০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০ মি. গ্রা. দিনে ৩ বার |
১০০ মি. গ্রা. দিনে ৩ বার |
৫০ মি. গ্রা. দিনে ৩ বার |
এনারোবিক সংক্রামক |
৭ দিন |
৪০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার |
প্রতি কেজি ওজনে ৭.৫ মি. গ্রা. প্রতিদিন কয়েবারে ভাগ করে দিতে হবে। |
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
মেট্রোনিডাজলের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহের মধ্যে আছে: পরিপাকতন্ত্রে বিশেষ করে পাকস্থলীতে অস্বস্তিবোধ, বমি বমি ভাব, জিহবায় সাদা আবরণ পড়া, মুখ শুকনা লাগা, মুখ বিস্বাদ লাগা বা তিতা স্বাদ লাগা, মাথা ব্যথা করা, চুলকানী এবং ত্বকে র্যাশ (Rash) দেখা দেয়া ইত্যাদি। এছাড়াও কখনো কখনো মাথা ঘোরা, মানসিক অবসাদ, অনিদ্রা, ঘুম-ঘুম ভাব, প্রস্রাবে অস্বস্তি অথবা গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব হতে পারে। কখনো কখনো রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ কমে যায়। যারা দীর্ঘদিন ধরে মেট্রোনিডাজল সেবন করছেন তাদের কখনো কখনো পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথী নামক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।
কখন ব্যবহার করা যাবে না
যাদের ক্ষেত্রে মেট্রোনিডাজল মাত্রাতিরিক্ত সংবেদনশীল (Hypersensitivity), তাদের এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
সতর্কতা
যাদের রক্তকণিকা গঠনে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসও এই ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। মেট্রোনিডাজল এবং এলকোহল একত্রে সেবন করলে অতিরিক্ত বমি হতে পারে।
সংরক্ষণ
ঠাণ্ডা এবং শুষ্কস্থানে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।