About Lesson
নকল ও ভেজাল ওষুধ সংগ্রহে রাখার পরিণতি এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ সম্পর্কে কোথায় রিপোর্ট করবেন
নকল ও ভেজাল ওষুধ সংগ্রহে রাখার পরিণতিঃ
নকল ওষুধের ডিসপেন্সিং ও ব্যবহার গ্রাহক এবং ব্যবসা উভয়ের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
রোগীর উপর প্রভাবঃ
- নকল ও ভেজাল বা নিম্নমানের এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে বা ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হতে পারে;
- নকল ওষুধ ব্যবহার করলে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে;
- নকল ওষুধ ব্যবহারের কারণে ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যা পরবর্তীতে স্থায়ী অক্ষমতা তৈরি করতে পারে;
- নকল জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ যেমন বড়ি, কনডম ইত্যাদি ব্যবহারে অনাকাক্ষিত গর্ভধারণের মত ঘটনা ঘটতে পারে যাতে হয়ত অনিরাপদ গর্ভপাত এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে;
- যৌনবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে;
ব্যবসায়ের উপর প্রভাবঃ
- নকল ওষুধ ডিসপেন্স করলে এবং রোগী/গ্রাহকগণ ওষুধ সেবনের পর ভালো না হলে ঐ ওষুধের দোকানের উপর আস্থা হারাতে পারে;
- নকল ওষুধ পাওয়া গেলে ঔষধ প্রশাসন আইনগত পদক্ষেপ নিবে এবং ওষুধের দোকান বন্ধ করে দিতে পারে;
- নকল ওষুধ ডিসপেন্স করলে গ্রাহকের সংখ্যা কমে গিয়ে আয় কমে যেতে পারে;
- অনৈতিক কর্মকান্ডের দায়ে আপনার লাইসেন্স হারিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ হারাতে পারেন;
নকল ও ভেজাল ওষুধ সম্পর্কে কোথায় রিপোর্ট করবেনঃ
যদি নকল ওষুধ চিহ্নিত করতে পারেন তবে নিচের যে কোন একটি জায়গায় রিপোর্ট করুন-
- ঔষধ প্রশাসনের প্রতিনিধি (ড্রাগ ইন্সপেক্টর/সুপারিনটেনডেন্ট);
- সরবরাহকারী / উৎপাদনকারী;
- জেলা ড্রাগ কমিটির প্রধান-সিভিল র্সাজন ও উপজেলা ড্রাগ কমিটির প্রধান- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা;