Course Content
মডিউল-১
মডিউল-১, সেশন-২ঃ ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসি টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য
0/2
মডিউল-২
0/27
মডিউল-৪
0/21
মডিউল-৪, সেশন-৩ঃ ওষুধ প্রয়োগের পথ
0/8
মডিউল-৫
মডিউল-৫, সেশন-২ঃ শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই ক্রেতার নিকট বিক্রয়যোগ্য ওষুধসমূহ (Prescription Only Medicines)
0/13
মডিউল-৭
মডিউল-৭, সেশন-২ঃ এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হওয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে
0/7
মডিউল-৮ঃ গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিতিকরণের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিষ্ট/ ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট/ ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা
মডিউল-৮, সেশন-২ঃ করোনা সংক্রমণকালীন নিরাপদ ওষুধ ডিসপেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ
0/12
Private: Training Manual for Grade C Pharmacy Technicians
About Lesson

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ

যেসব ওষুধ গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের যে কোন ধরনের রোগ, যেমন-ডিসপেপসিয়া, অলটার্ড গাট মটিলিটি, পেপটিক আলসার, ইসোফেজাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরী ডিজিজ, একিউট ও ক্রনিক ডায়রিয়া, গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল ট্রাক্ট সংক্রমন ও ইনটেস্টিনাল সিক্রেশন ইত্যাদি প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোই গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ।

উদাহরণ: এন্টাসিডে এলুমিনিয়ম ও ম্যাগনেসিয়াম আছে, ডমপেরিডন, এপ্রিপিট্যান্ট, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল, ওআরএস, চালের ওআরএস, টেট্রাসাইক্লিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, অলভেরাইন সাইট্রেট, রাবিপ্রাজল, সালফাস্যালাজিন, অন্ডানসেট্রন, ইসোমিপ্রাজল, সিমেটিডিন, হেসপেরিডিনসহ ডায়োসমিন, মিসোপ্রস্টল, ট্রাইমেবুটিন ম্যালিয়েট, লোপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড, ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড, নিটাজোক্সানাইড ইত্যাদি।

নির্দেশনা

  • রোগের ধরন ও তীব্রতা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহৃত হয়;
  • ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী দিতে হবে;

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ যেভাবে পাওয়া যায়

  • সলিড আকারে (ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল);
  • তরল (সাসপেনশন, ইমালশন);
  • মাংসপেশীতে/শিরায় ব্যবহার (ইনজেকশন)।

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ প্রয়োগের পথ

  • মুখে;
  • শিরায়;
  • মাংসপেশীতে;

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ প্রতিনির্দেশনা/বিরুদ্ধ-প্রতিক্রিয়া (Contraindications)

  • একিউট পরফাইরিয়া, হেপাটিক ইমপেয়ারমেন্ট, গর্ভাবস্থা, বুকের দুধ দেয়া ও ১৮ বছরের নীচে শিশু;
  • এন্টাসিড বিশেষভাবে অন্য ওষুধের সাথে দেয়া উচিত নয়, কারণ, এটা শোষণ কমিয়ে দিতে পারে;
  • ওমেপ্রাজল, মহিলাদের তীব্র বা জটিল রিফ্লাক্স ডিজিজের কারণ হতে পারে;
  • রাবেপ্রাজল, গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় বাদ দিতে হবে;
  • মিসোপ্রস্টল, সন্তানধারণে সক্ষম মহিলাদের ব্যবহার করা উচিত নয় যতক্ষণ পর্যন্ত কোন NSAID প্রয়োজন না হয়, কারণ তারা এর ফলে হওয়া আলসারের অতিঝুঁকিতে থাকে;
  • ট্রাইমেবুটিনে এলার্জি আছে এমন কারো ট্রাইমেবুটিন ম্যালিয়েট নেয়া উচিত নয়।

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা

  • ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় এড়িয়ে চলতে হবে;
  • গর্ভাবস্থায় অলভেরাইন সাইট্রেট ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে;
  • ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইসিলিকেট ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে;
  • ট্রাইমেবুটিন ম্যালিয়েট গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলতে হবে;
  • এপ্রিপিট্যান্টের সাথে পিমোজাইড, টারফেনাডিন, এস্টেমাইড বা সিসাপ্রাইড নেয়া যাবেনা;
  • গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় ডমপেরিডন নিলে সতর্ক থাকতে হবে;
  • হেপাটিক ও রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট, গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় H-এন্টাগোনিষ্ট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত;
  • সিমেটিডিন, হেপাটিক ও রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট, গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। উচ্চমাত্রায় শিরায় ইনজেকশন ও কার্ডিওভাসকুলার ইমপেয়ারমেন্টও এড়িয়ে চলতে হবে।

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধের সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

  • ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইসিলিকেট ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে;
  • এন্টিমাসকারিনিক ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্য, ট্রানজিয়েন্ট ব্রাডিকার্ডিয়া, ইউরিনারি রিটেনশন, পিউপিল ডাইলেটেশন, লস অব একোমোডেশন, ফোটোফোবিয়া, মুখ এবং ত্বক শুষ্ক হতে পারে;
  • ট্রাইমেবুটিন ম্যালিয়েট ব্যবহারে পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ক্লান্তি, বাজে স্বাদ, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, দানা ওঠা ইত্যাদি হতে পারে;
  • অলভেরাইন সাইট্রেট ব্যবহারে বমি বমি ভাব, ডিস্পনিয়া, মাথা ব্যথা, ডিজিনেস, প্রুরিটাস, হেপাটাইটিস হতে পারে;
  • ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহারে ফ্লাশিং, পার্সপিরেশন, পালপিটেশন, ভার্টিগো হতে পারে;
  • এপ্রিপিট্যান্ট ব্যবহারে হিক্কাপ, ডিসপেপসিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, এনোরেক্সিয়া, ড্রাই/শুষ্ক মুখ, এস্থেনিয়া হতে পারে;
  • ডমপেরিডনে দানা ওঠে, অন্যান্য এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয় ও লিবিডো কমায়;
  • সেমিটিডিনে অলটার্ড বাওয়েল হ্যাবিট, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, রিভারসিবল লিভার ড্যামেজ, এলোপেসিয়া, মাংসে বা গিরায় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে;
  • প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর পেটে সমস্যা করতে পারে, যেমন – বমি, পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, আরটিকারিয়া, প্রুরিটাস, গায়ে ব্যথা ও মাংসে বা গিরায় ব্যথা;

গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সিস্টেমের ওষুধ সংরক্ষণ

এই ধরনের ওষুধ ফর্ম/ডোজেস ফরম ও ওষুধের বাক্সে প্রদত্ত লিফলেট/বিবরণীপত্রে নির্দেশিত নিয়মে সংরক্ষণ করা উচিত।

Scroll to Top