সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ/ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) এবং বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর/ফার্মেসী সেক্টরে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ/ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি)
বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ/মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস শেষ করেছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রায় সকল সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। আমরা এখন ২০১৫-পরবর্তী ২০৩০-এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা/সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস বাস্তবায়ন করছি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা /সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি)
এটি ২০১৫-পরবর্তী স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়ন কার্যাবলী।
২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা /এসডিজি-র ১৭টি লক্ষ্য গ্রহণ করে। সরাসরি স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা/এসডিজি-র লক্ষ্যটি হচ্ছে ’সব বয়সের সকলের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা ও সুস্থতা/ স্বাস্থ্যকে উন্নীত করা’।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর/ফার্মেসী সেক্টরে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর। The Drugs Act, ১৯৪০; The Drugs Act, ১৯৪৫; The Bengal Drugs Rules, ১৯৪৬; The Drugs (Control) Ordinance, ১৯৮২; The Drugs (Control) (Amendment) Ordinance, ১৯৮২; The Drugs (Control) (Amendment) Ordinance, ১৯৮৪; and Drugs (Control) (Amendment) Act, ২০০৬- সমূহের মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তার দায়িত্বসমূহ পালন করে থাকে। কিছু বিশেষ অবস্থায়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ প্রয়োগ করে থাকে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়ুর্বেদিক, ইউনানী, ভেষজ ও হোমিওপ্যাথিক ব্যবস্থার ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধ ও চিকিৎসা বিষয়ক যন্ত্রের আমদানি; কাচাঁমাল ও মোড়কীকরণের উপকরণসমূহ কেনা; সম্পূর্ণ তৈরি ওষুধের উৎপাদন; আমদানি, রপ্তানী, বিক্রয়, দাম নির্ধারণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে দেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে ৫৫টি জেলা অফিস আছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সকল অফিসার ‘ড্রাগ ইন্সপেক্টর’ হিসাবে ওষুধ আইন অনুসরণ করে এবং তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য অনুমতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করে। এছাড়াও কয়েকটি কমিটি, যেমন – ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, কাচাঁমাল ও তৈরি ওষুধ আমদানির স্ট্যান্ডিং কমিটি, দাম নির্ধারণ কমিটি এবং আরো কয়েকটি প্রাসঙ্গিক কমিটি যেগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠিত হয় তারা অনুমতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে ওষুধ ও মাদক বিষয়ক পরামর্শ দেন ও সুপারিশ করেন।
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। এই কাউন্সিল সব ধরনের ফার্মাসিস্টদের (গ্রেড এ, গ্রেড বি ও গ্রেড সি) রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। ফার্মেসী শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল। কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশে ফার্মেসী প্র্যাকটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা।
ওষুধের উৎস
১। স্থানীয় উৎপাদন: ৯৫-৯৮%
২। আমদানি: ২-৫%
ফার্মাসিউটিক্যাল বিন্যাস
১। সরকারিঃ
ক) সিএমএসডি-র মাধ্যমে ক্রয় ও বন্টন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধীনে সকল ধরনের ওষুধ, চিকিৎসা বিষয়ক ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করা, গ্রহণ করা, স্টোর ও বন্টন করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো মূল দায়িত্ব পালন করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং অন্যান্যদের এবং দুর্যোগ ও জরুরী অবস্থায় সিএমএসডি সহায়তা দিয়ে থাকে।
খ) হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট দ্বারা সরাসরি ক্রয় করা
২। প্রাইভেট
প্রাইভেট সেক্টরে সারা দেশে ওষুধ বন্টনের জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো মেনে চলা হয়:
- উৎপাদকের কাছ থেকে হাসপাতাল ও খুচরা ওষুধের বাজারে সরাসরি বন্টন;
- উৎপাদকের কাছ থেকে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার কাছে বা হাসপাতালে সরাসরি বন্টন;
- পাইকারী থেকে খুচরা বিক্রেতা।