মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০; মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষার আইন, ২০০৯
মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন (Narcotics Control Act), ১৯৯০
মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ মাদক ও মনোরোগের ওষুধ/দ্রব্যাদি এবং চিকিৎসা ও মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন নিয়ন্ত্রণ করে। এই আইনের সারাংশ নিচে দেয়া হলো-
মাদক প্রেসক্রিপশন করতে বাধা
১) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোন ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে কোন এ-শ্রেণি অথবা বি-শ্রেণির মাদককে ওষুধ হিসাবে লিখবে না;
২) ডাক্তার ছাড়া কোন ব্যক্তি প্রেসক্রিপশনে কোন সি-শ্রেণির মাদককে ওষুধ হিসাবে লিখবে না;
৩) উপধারা (১) বা (২) অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি কোন মাদক একবারের বেশি কিনতে পারবে না।
কোন দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ করার ক্ষমতা
১) যদি একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা একজন পুলিশ কমিশনার তার সীমানার মধ্যে কোন মাদকের দোকানের আইন- শৃংখলা নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে পারে। লিখিত আদেশক্রমে, সর্বোচ্চ ১৫ দিন বন্ধ করে দিতে পারে, যা বোর্ডের অনুমতিক্রমে আরো ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে।
২) উপধারা (১) অনুযায়ী একটি আদেশের কপি সাথে সাথে মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কাছে তার তথ্যের জন্য পাঠাতে হবে।
মোবাইল কোর্ট আইন (The Mobile Court Act), ২০০৯
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ সিডিউলের অধীনে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ তালিকাভুক্ত।
ভোক্তার অধিকার রক্ষার আইন (The Consumers’ Right Protection Act), ২০০৯
এই আইন ওষুধ বা সেবা নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি দামে বিক্রি করা, ভেজাল ওষুধ জেনে বিক্রি করা, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা – এ বিষয়গুলি দেখে। এই আইন এধরনের অপরাধের জরিমানা ও শাস্তি নির্ধারণ করে।