ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ (The Drugs (Control) Ordinance), ১৯৮২
ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ (The Drugs (Control) Ordinance), ১৯৮২
ওষুধ আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ/বন্টন ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশ বাংলাদেশে গ্রহণ করা হয়। এই অধ্যাদেশের আওতাধীন ধারাগুলি হচ্ছে:
৮ম ধারা – যেসব ওষুধ এই আইনের তিনটি ভিন্ন সিডিউলের অন্তর্ভুক্ত, সেগুলো উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ।
১৩তম ধারা – বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের যেকোন নিবন্ধনে নিবন্ধিত ফার্মাসিস্টের ব্যক্তিগত সুপারভিশন ছাড়া কোন ব্যক্তি কোন ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয় করতে পারবে না।
১৪তম ধারা – লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি, ওষুধের ব্যবহার বা চিকিৎসার দাবী সম্পর্কিত কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে বা প্রচারের অংশ হতে পারবে না।
১৬তম ধারা – কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয়ের শাস্তি: যে ব্যক্তি অনিবন্ধিত বা ভেজাল মিশ্রিত কোন ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, বন্টন ও বিক্রয় করবে, সে শাস্তি হিসাবে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যা ১০ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে বা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি পেতে পারে।
১৭তম ধারা – নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়ের শাস্তি: শাস্তি হিসাবে ব্যক্তি সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যা ৫ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে বা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি পেতে পারে।
১৮তম ধারা – অবৈধভাবে ওষুধ আমদানির শাস্তি: শাস্তি হিসাবে ব্যক্তি সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যা ৩ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে বা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি পেতে পারে।
১৯তম ধারা – ওষুধ বেশি দামে বিক্রি বা ফার্মাসিউটিক্যালের কাচাঁমাল বেশি দামে আমদানি ও বিক্রির শাস্তি: শাস্তি হিসাবে ব্যক্তি সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যা ২ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে বা ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি পেতে পারে।
২০তম ধারা – সরকারি ওষুধ চুরির শাস্তি: শাস্তি হিসাবে ব্যক্তি সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যা ১০ বছর পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে বা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি পেতে পারে।
২১তম ধারা – বেআইনী বিজ্ঞাপন ও দাবীর শাস্তি: শাস্তি হিসাবে ব্যক্তির ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
২২তম ধারা – কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর
ক) এই অধ্যাদেশের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ অআমলযোগ্য হবে।
খ) এই অধ্যাদেশের অধীনে শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধের বিচার ওষুধ আদালত (ড্রাগ কোর্ট) ব্যতীত অন্য কোন আদালত করতে পারবে না।
২৩তম ধারা – সরকার অফিসিয়াল গেজেট/প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যতগুলি ওষুধ কোর্ট দরকার ততগুলি গঠন করতে পারে এবং যেখানে একটির বেশি ওষুধ কোর্ট থাকবে সেখানে তাদের স্থানিক সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারে যাতে আইনের অধীনে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ওষুধ কোর্ট সেশন জজ ও সরকার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা গঠিত হয়।
২৪তম ধারা –
ক) সরকার, জাতীয় ওষুধ অ্যাডভাইজারী কাউন্সিল গঠন করবে যেখানে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য সময়ে সময়ে নিয়োগ পাবেন। দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য কাউন্সিল ব্যবস্থা নেবে।
খ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও ব্যক্তি যারা ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, বন্টন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত, কাউন্সিল তাদের কার্যক্রম সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেবে।
২৫তম ধারা – সরকার অফিসিয়াল গেজেটে প্রজ্ঞাপণ জারির মাধ্যমে এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পালনের জন্য বিধিমালা তৈরি করতে পারবে।