ফার্মেসী অধ্যাদেশ/ বিশেষ আইন (The Pharmacy Ordinance/ Special Act), ১৯৭৬, ২০১৩
ফার্মেসী অধ্যাদেশ/বিশেষ আইন, ১৯৭৬, ২০১৩ হচ্ছে বাংলাদেশে ফার্মেসী প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল গঠন করা। ফার্মেসী কাউন্সিল নিম্নোক্ত সদস্যদের নিয়ে গঠিত:
১. সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। পদাধীকার বলে তিনি এই কাউন্সিলের সভাপতি;
২. মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;
৩. মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর;
৪. চেয়ারম্যান, ফার্মেসী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
৫. সরকার কর্তৃক মনোনীত চারজন সদস্য যাদের একজন মেডিসিনের প্রফেসর এবং একজন বাংলাদেশ মেডিকেল
ইনস্টিটিউশনের ফার্মাকোলোজি বিভাগের প্রফেসর [এবং দুইজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট];
৬. বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি কর্তৃক মনোনীত একজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট;
৭. বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;
৮. বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতি (BCDS) কর্তৃক মনোনীত একজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট;
৯. বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক মনোনীত তিনজন সদস্য।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এই কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারে।
ফার্মেসী কাউন্সিলের কাজগুলো হচ্ছে-
১. যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে ফার্মাসিস্ট হিসাবে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে ফার্মেসী পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া;
২. অনুমোদিত পরীক্ষা যে সকল বিষয়ের উপর হবে সেগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়া;
৩. অনুমোদিত পরীক্ষার জন্য ভর্তির উদ্দেশ্যে ফার্মেসী কোর্স ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া;
৪. অনুমোদিত পরীক্ষায় প্রার্থী ভর্তির শর্ত ও প্রক্রিয়াগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়া;
৫. অনুমোদিত কোর্স পরিচালনাকারী ইন্সটিটিউটসমূহের শিক্ষার মান ঠিক করা যা তারা বজায় রাখবে;
৬. শিক্ষার্থীরা যাতে যন্ত্রপাতি ও সুবিধাদি পায় সে ব্যবস্থা করে দেয়া;
৭. ফার্মাসিস্ট হিসাবে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে ফার্মেসী ডিগ্রি ও ডিপ্লোমাকে স্বীকৃতি দেয়া;
৮. যেসব ইন্সটিটিউট ফার্মেসীর যেকোন কোর্স পরিচালনা করবে, শিক্ষা দেবে এবং পরীক্ষা নেবে, তাদের পরিদর্শন করা;
৯. ফার্মাসিস্ট ও ফার্মেসীতে শিক্ষানবিশদের রেজিস্টার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
১০. ফার্মাসিস্টদের নিবন্ধন করা ও নিবন্ধনের সনদপত্র অনুমোদন করা;
১১. ফার্মাসিস্ট হিসাবে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে পরীক্ষা নেয়া;
১২. আইনের বলে কাউন্সিলকে প্রয়োজনে অন্যান্য কার্যক্রম নেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন করা।