এসকরবিক এসিড ট্যাবলেট (বড়ি)
এসকরবিক এসিড ট্যাবলেট (বড়ি)
এসকরবিক এসিড ট্যাবলেট-এ থাকে এসকরবিক এসিড ১০০ মি.গ্রা. ইউ.এস.পি। তার সাথে থাকে সোডিয়াম এসকরবেট ১৬৮.৭৫ মি.গ্রা. যার সমন্বয়ে গঠিত ট্যাবলেট ২৫০ মি.গ্রা. এসকরবিক এসিডের সমান। (ভিটামিন-সি) কোলাজেন এবং কোষের অভ্যন্তরীণ কিছু উপাদানের গঠনের জন্য ভিটামিন-সি বা এসকরবিক এসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিছু কিছু বিপাক কর্মকাণ্ডের সাথেও সম্পৃক্ত। পাকস্থলী বা অন্ত্রের শোষণ ব্যাহত হলে বা শরীরে এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেলে অনেক সময় এর অভাব দেখা দেয়। এ সকলের মধ্যে প্রধান কারণ হলো: গর্ভাবস্থা, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়, অপারেশন পরবর্তী সময় বা শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির সময় ইত্যাদি। ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে এই ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে এবং যখন কোন কারণে ভিটামিন সি এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখনও সেবন করা যেতে পারে।
কখন সেবন করতে হবে
এসকরবিক এসিড এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে সেবন করা যেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে যে সব রোগ দেখা দেয় সেসব ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থায়, শিশুকে দুগ্ধপান করানোর সময়ে, অপারেশন পরবর্তী সময়ে বা অন্য কোন ক্ষত শুকানোর সময়, সংক্রমণ, শারীরিক বৃদ্ধির সময়ে, থাইরোটক্সিকোসিস নামক থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যায় বা সাধারণ সর্দিতেও এই ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে। যেহেতু এটি একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট তাই এটি আমাদের হৃদরোগ, অ্যাথেরোস্কেলোরোসিস নামক রক্তনালীর রোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলোকে সহজে শরীরে আশ্রয় নিতে দেয় না বা দেরি করাতে সাহায্য করে। দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিস রোগে এই ভিটামিন সি -এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
নিম্নের শারীরিক অবস্থাগুলোতেও এসকরবিক এসিড সেবন করা হয়-
- রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য;
- সাধারণ সর্দি-কাশি সারানোর জন্য;
- কোলাজেন তৈরিতে ও বজায় রাখতে;
- নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ুতন্ত্রের উপাদান) তৈরিতে;
- অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে;
- অনেক ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কমায়;
- দাঁতের মাড়ির প্রদাহে সুরক্ষা প্রদান করে।
ওষুধের মাত্রা ও সেবনবিধি
স্কার্ভি রোগ: ৪টি ট্যাবলেট দিনে ২/৩ বার
ক্ষত শুকানোর জন্য: ২-৪টি ট্যাবলেট প্রতিদিন ২/৩ বার
অন্যান্য ক্ষেত্রে: ১-২ ট্যাবলেট প্রতিদিন
সতর্কতা
হাইপার অক্সালুরিয়া নামক কিডনি সমস্যায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। উচ্চমাত্রায় গ্রহণ করলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াসমূহ
সাধারণত এসকরবিক এসিডের কোন গুরুতর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না বিশেষত সেবনের মাত্রা যদি দিনে ৪ গ্রাম এর কম থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে ডায়রিয়া এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে তাদের জন্য। দিনে ৬ গ্রাম এর বেশি সেবন করলে প্রশ্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।