Course Content
মডিউল-১
মডিউল-১, সেশন-২ঃ ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসি টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য
0/2
মডিউল-২
0/27
মডিউল-৪
0/21
মডিউল-৪, সেশন-৩ঃ ওষুধ প্রয়োগের পথ
0/8
মডিউল-৫
মডিউল-৫, সেশন-২ঃ শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই ক্রেতার নিকট বিক্রয়যোগ্য ওষুধসমূহ (Prescription Only Medicines)
0/13
মডিউল-৭
মডিউল-৭, সেশন-২ঃ এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হওয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে
0/7
মডিউল-৮ঃ গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিতিকরণের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিষ্ট/ ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট/ ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা
মডিউল-৮, সেশন-২ঃ করোনা সংক্রমণকালীন নিরাপদ ওষুধ ডিসপেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ
0/12
Private: Training Manual for Grade C Pharmacy Technicians
About Lesson

ভূমিকা

  • এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হয়ে ওঠাকে অনেক সময় চিকিৎসায় ওষুধের অকার্যকর হয়ে ওঠাকেও বোঝায়
  • জীবাণুগুলো প্রতিরোধী হয়ে উঠছে যখন এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে এগুলো আর কোন ভাবেই কাজ করছে না, যেগুলো আগে জীবাণুগুলোর বিরূদ্ধে কার্যকর ছিল।
  • ফলে মান সম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাও সংক্রামক জীবাণুগুলোকে আর নিমূর্ল করতে পারছে না ।
  • বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশে জীবাণুগুলো এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় অকার্যকর হয়ে ওঠা এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  • এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় মারাত্বক ঝঁুকির মুখে ফেলছে
  • সংক্রমণ সৃষ্টিকারি প্রতিরোধী জীবাণুগুলো কোন চিকিৎসায় সাড়া দেয় না, যার ফলে দীর্ঘদিন রোগে ভুগতে হয় এবং মৃত্যুর ঝূঁকিও বাড়ে। আর চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ায় সংক্রমণ নিরাময়ে অনেকদিন সময় লেগে যায়, তাতে সমাজে বসবাসকারি সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
  • ফলে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুগুলো সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • যখন দেখা যায় জীবাণুগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে উঠছে, তখন এই জীবাণুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবার জন্যে উচ্চ দামের দ্বিতীয় পর্যায়ের এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয় এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের এ্যান্টিবায়োটিকগুলোও চিকিৎসায় অকার্যকর হয়ে ওঠে।
  • সব থেকে আতংকের বিষয় হচ্ছে জীবাণুগুলো বহু এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে উঠছে, যা প্রকৃতপক্ষে চিকিৎসার আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে যে সংক্রমণ প্রতিরোধে আর কোন উপায় থাকবে না।
  • পরিতাপের বিষয় হলো এই মূহুর্তে আমাদের কোন ”জাতীয় এ্যান্টিবায়োটিক পলিসি” নাই। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এ্যান্টিবায়োটিক এম্পেরিক/অনুগতভাবে বা সংক্রমণের ধরণ বুঝে প্রেসক্রিপশন দেয়া হচ্ছে এবং যারা মারাত্মক সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কিছু তৃতীয় স্তরের হাসপাতালগুলোতে ”কালচার সেন্সিটিভিটি” পরীক্ষা করে ”এ্যান্টিবায়োগ্রাম”—এর মাধ্যমে সঠিক ও কার্যকর এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রেসিক্রিপশন প্রদান করা হচ্ছে।
  • জীবাণুগুলো এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে ওঠা প্রাকৃতিকভাবেই হয় কিন্তু যে যে কারণে এটা বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলঃ
    -স্বাস্থ্যখাতে, গবাদি—পশু ও হাঁস—মুরগীর খামারিতে, কৃষিতে, খাদ্যে ও মৎস চাষে এ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের ফলে।
    -স্বাস্থ্যখাতে রোগ নির্ণয়ের সুযোগ অপর্যাপ্ত থাকার কারনে
    -জীবাণুগুলো এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে ওঠার ব্যাপারে সর্বস্তরের   মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং সমন্বিত নজরদারি (সার্ভিলেন্স)র অভাবে।
    -এ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ মাটি, পানি ও খাদ্য—শষ্যে বিভিন্ন ভাবে মিশে যাওয়ায়
    -সংক্রমণ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দুর্বল পদ্ধতি ও নিম্নমানের চর্চা/অনুশীলনের ফলে
    -দুর্বল তদারকি ও ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ন্ত্রিত প্রচারমূলক কার্যক্রমের ফলে
    -নিম্নমানের সমন্বয়ের ফলে, এবং
    -নীতি ও কৌশলের অপর্যাপ্ত প্রয়োগের জন্য
    ফলে আদর্শ(স্ট্যান্ডার্ড) চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন ভাবেই জীবাণুগুলোকে নির্মূল বা ধ্বংস করতে পারছে না। এটাই হলো জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ও বড় ধরণের হুমকি