About Lesson
চর্ম রোগের ওষুধসমূহ
চর্ম রোগের ওষুধসমূহ
যেসকল ওষুধ চর্মরোগ প্রতিরোধে কিংবা চর্মরোগ থেকে আরোগ্য লাভে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকেই চর্ম রোগের ওষুধ বলা হয়।
চর্মরোগের ওষুধগুলোর মধ্যে কত গুলো উদাহরণ হিসেবে বলা যায় – জেন্টামাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন, ক্লটরিমাজল, কিটোকোনাজল, ফ্লুকোনাজল, নিস্ট্যাটিন, ইকোনাজল, ব্যাসিট্র্যাসিন, মিউপিরোসিন ইত্যাদি।
নির্দেশনা
নিম্নের রোগসমুহের চিকিৎসা ও প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়:
- ব্রণ ও রোজাসিয়া, ইকথিওসিস, ইমপেটিগো, স্কার্ভি;
- একজিমা, ভ্যাজাইনার সংক্রমন, চুলকানি, র্যাশ উঠা;
- এলার্জির প্রতিক্রিয়া, জ্বালা অনুভ‚তি ইত্যাদি;
- চামড়ার সংক্রমণ;
চর্মরোগের ওষুধ বাজারে যেভাবে পাওয়া যায়
- সলিড (Solid) আকারে (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল) মুখে খাওয়ার জন্য;
- Semi-Solid আকারে (ক্রিম লোশন, অয়েনমেন্ট) শরীরের ক্ষত স্থানে সরাসরি ব্যবহারের জন্য;
- তরল (Liquid) আকারে (সিরাপ, সাসপেনশন, সলিউশন);
- মাংসপেশীতে/শিরাপথে (Parenteral) ব্যবহারের জন্য (ইনজেকশন)।
প্রয়োগ পথ
- সরাসরি ক্ষত স্থান (Topical);
- মুখে (Enteral);
- শিরাপথে (Parenteral);
- মাংশপেশীতে;
বিরুদ্ধ ব্যবহার (Contraindications)
- সালফোনামাইড ও মেট্রোনিডাজল ডেরিভেটিভস-এর প্রতি সংবেদনশীলতা;
- এন্টি-হিস্টামিন-এর প্রতি সংবেদনশীলতা;
- নাইট্রোফুরান ডেরিভেটিভস-এর প্রতি অতি-সংবেদনশীলতা ও পরস্পর সংবেদনশীলতা;
- ব্রোকেন স্কিন (অমসৃণ ত্বক)।
সতর্কতা
- যকৃত ও কিডনি/বৃক্ক-এর সমস্যা (Hepatic and Renal Impairment);
- চোখের আশেপাশে ব্যবহার করা যাবে না;
- চোখ ও মিউকাস মেমব্রেন-এর সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে;
- গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন সময়;
- পরফাইরিয়া।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
- বার্নিং স্কিন (Burning Skin);
- ইরিটেশন (Irritation);
- কাঁটা ফোটার মত যন্ত্রনা (Stinging);
- কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস (Contact Dermatitis);
- পিলিং (Peeling);
- ব্লিস্টারিং ইডিমা (Blistering Edema);
- প্রুরিটাস (Pruritus);
- যে স্থানে ব্যবহৃত হয় সে স্থানে আর্টিক্যারিয়া (Urticaria);
- ম্যাসিরেসন (Maceration);
- এলার্জিক প্রতিক্রিয়া (Allergic Reactions);
সংরক্ষণ
এই ধরনের ওষুধ ফর্ম/ডোজেস ফরম ও ওষুধের বাক্সে প্রদত্ত লিফলেট/বিবরণীপত্রে নির্দেশিত নিয়মে সংরক্ষণ করা উচিত।