এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হওয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে
স্বাস্থ্য সেবায় জীবাণুগুলো এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে উঠা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন সংক্রমণের ফলে কিছু কিছু লোক সংক্রমণ ঝুঁকিতে ভোগে, ফলে তাকে দীর্ঘমেয়াদী উচ্চমাত্রার এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়, যার জন্য জীবাণুগুলো এ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে অকার্যকর হয়ে ওঠে এবং অন্য রোগীদের সংক্রমণ ঘটায়।
হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হওয়া এই সকল রোগী সব সময় কর্মক্ষমতা হারানো ও মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে। এ ছাড়াও কিছু মারাত্বক সংক্রমণ সৃষ্টিকারি জীবাণু এ্যান্টিবায়োটিকের বিরূদ্ধে অকার্যকর হয়ে ওঠা, মৃত্যু, দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকা ও ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা খরচের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
স্বাস্থ্যখাতে, গবাদি—পশু ও হাঁস—মুরগীর মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার ফলে এ্যান্টিবায়োটিকগুলো অকার্যকর হয়ে ওঠা বিস্তার লাভ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকার রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন যে এগুলোর মধ্যে অনেক আন্তঃসম্পর্কিত কারণ রয়েছে, যে গুলো এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতার বিস্তার লাভে প্রভাব ফেলছে। যেমন—
-স্বাস্থ্যখাতে, গবাদি—পশু, হাঁস—মুরগী ও কৃষিতে এ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার
-এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সীমিতকরন করা
-নিম্নমানের এ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস বা এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার
-নিম্নমানের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
-দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ও আইনের বাস্তবায়ন বা প্রয়োগ
-এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অকার্যকর হয়ে ওঠার ওপর পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকা এবং
-ওষুধের অযৌক্তিক বাজারজাতকরণের প্রতিযোগিতা