Course Content
মডিউল-১
মডিউল-১, সেশন-২ঃ ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসি টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য
0/2
মডিউল-২
0/27
মডিউল-৪
0/21
মডিউল-৪, সেশন-৩ঃ ওষুধ প্রয়োগের পথ
0/8
মডিউল-৫
মডিউল-৫, সেশন-২ঃ শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই ক্রেতার নিকট বিক্রয়যোগ্য ওষুধসমূহ (Prescription Only Medicines)
0/13
মডিউল-৭
মডিউল-৭, সেশন-২ঃ এ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হওয়া যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে
0/7
মডিউল-৮ঃ গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিতিকরণের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিষ্ট/ ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট/ ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা
মডিউল-৮, সেশন-২ঃ করোনা সংক্রমণকালীন নিরাপদ ওষুধ ডিসপেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ
0/12
Private: Training Manual for Grade C Pharmacy Technicians
About Lesson

অ্যালবেনডাজল চুষে খাওয়া ট্যাবলেট (বড়ি)

অ্যালবেনডাজল চুষে খাওয়া ট্যাবলেট (বড়ি)

অ্যালবেনডাজল একটি বিস্তৃত কার্যকারিতার কৃমিনাশক যা প্রায় সবধরনের কৃমির ক্ষেত্রেই কার্যকর। প্রতিটি ট্যাবলেট ৪০০ মি.গ্রা. আকারে পাওয়া যায় যা চুষে/ চিবিয়ে খেতে হয়। এটি বেনজিমিডাজল কার্বনেট গ্রুপের খুবই কার্যকর একটি কৃমিনাশক যা অন্ত্রের যাবতীয় কৃমি ঘটিত রোগ এবং হাইডেটিড রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

বিস্তৃত কার্যকারিতার সুবিধাসমূহ

  • অনেক ধরনের কৃমির ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে কার্যকর;
  • শরীরের সকল কৃমিকে বিনাশ করা নিশ্চিত করে;
  • নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করে।

সেবনমাত্রা ও প্রক্রিয়া

গোলকৃমি, সুতা কৃমি, ফিতা কৃমি, ত্বকের লার্ভা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কৃমিনাশের জন্য ২ বছরের শিশু থেকে পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের জন্য ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট মাত্র একবার সেবনই যথেষ্ট। একটি বিশেষ কৃমি (স্ট্রঙ্গিলইডিয়াসিস) এর ক্ষেত্রে ৪০০ মি.গ্রা. একবার পরপর তিনদিন দেয়া উচিৎ। প্রয়োজন হলে ৩ সপ্তাহ পর পুনরায় একই ভাবে দেয়া যাবে। গুড়াকৃমির ক্ষেত্রে ২ বছর বা তার ঊর্ধ্বে শিশুদের জন্য ১০০ মি.গ্রা. মাত্রায় একবার সেবন করার পর ৭দিন পর আবার সেবন করা উচিৎ। বড়দের ক্ষেত্রে ৪০০ মি.গ্রা. একবার সেবন করার ৭দিন পর আবার ৪০০ মি.গ্রা. সেবন করতে হবে।

হাইডেটিড রোগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৪০০ মি.গ্রা. প্রতিদিন ২ বার সেবন করতে হবে। এটি সাধারণত ২৮ দিনের চক্র হিসেবে সেবনের জন্য দেয়া হয়। ১ থেকে ১২টি চক্র পর্যন্ত দেয়া হতে পারে তবে সাধারণত ৩টি চক্রই যথেষ্ট। প্রতি চক্রের মাঝে অবশ্যই ২ সপ্তাহের বিরতি নিতে হবে।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা বা পেটের সমস্যা, মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই উপসর্গগুলো সাধারণত হালকা বা মৃদু ধরনের থাকে এবং কোন চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়। ত্বকে ফুসকুড়ি বা চাকা, জ্বর এবং কদাচিৎ চুল পড়ে যাওয়ার অভিযোগও অ্যালবেনডাজল ব্যবহারের সময় পাওয়া গেছে।

সেবন নিষেধ

গর্ভাবস্থায় অ্যালবেনডাজল সেবন করা যাবে না।

সতর্কতা

যকৃত বা লিভারের কোন কোন এনজাইম (পাচকরস) বৃদ্ধি এবং রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়ার মত ঘটনা জানা গেছে। এই ধরনের ঘটনা প্রধানত ই.মালটিলোকুলারিস জাতীয় কৃমির চিকিৎসার ক্ষেত্রেই ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ওষুধের সাথে পারষ্পরিক বিক্রিয়া (মিথস্ক্রিয়া)

অন্য ওষুধের সাথে পারষ্পরিক বিক্রিয়া (মিথস্ক্রিয়া) দেখা গেছে । অ্যালবেনডাজল সাইটোক্রোম পি-৪৫০ এনজাইম সিস্টেমকে প্রভাবিত করে যা তার নিজের বিপাকের জন্য দায়ী। সেজন্য এখানে থিওফাইলিন, খিচুনী রোধক, রক্ত জমাট রোধক, মুখে খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা মুখে সেবনযোগ্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধসমূহের সাথে মিথস্ক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি আছে। যে সকল রোগী উপরোক্ত ওষুধগুলোর কোন একটি সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে অ্যালবেনডাজল ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।

মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের প্রতিক্রিয়া

সাধারণতঃ মাত্রাতিরিক্ত ডোজের কোন অভিজ্ঞতা জানা যায় না। তবে কখনো ঘটে গেলে সেবনের প্রথম দুই/তিন ঘণ্টার মধ্যে পাকস্থলী পরিষ্কার (Stomach Wash) করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক (Antidote) জানা নাই। তবে প্রয়োজনে উপসর্গ ভিত্তিক সহযোগিতা বা চিকিৎসা করা যেতে পারে।

Scroll to Top