ওষুধ ক্রয়
উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে ওষুধ সংগ্রহের প্রক্রিয়াই হলো ওষুধ ক্রয়। মডেল মেডিসিন শপের একজন ডিসপেন্সার ওষুধ ক্রয়ের পূর্বে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন।
- যে সকল ওষুধ ক্রয় করবেন তার সঠিক তালিকা ও পরিমাণ;
- ঐ সকল ওষুধ কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ।
সঠিক ওষুধ ক্রয়ের বেশকিছু ধাপ রয়েছে-
১. কি কি ওষুধ ক্রয় করতে হবে তা নির্ধারণ করাঃ কি কি ওষুধ কিনতে হবে তা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে,
- কোন ধরনের রোগী এই মেডিসিন শপ থেকে দৈনিক/নিয়মিত সেবা নেন;
- কি ধরনের ওষুধ সেবন/গ্রহণ করেন;
- এলাকা ভিত্তিক রোগসমূহের ধরন;
- ওষুধ কেনার পরিমাণ;
- ওষুধ মজুদ করার সক্ষমতা;
- ওষুধ ক্রয়ের জন্য ব্যবহারযোগ্য তহবিল;
- মডেল মেডিসিন শপ থেকে পাইকারী সরবরাহকারীর দূরত্ব।
টীকাঃ
- উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে যে কোন ওষুধের অতিরিক্ত মজুদ জমে থাকা বা ঘাটতির সম্ভাবনা এড়ানো যাবে।
২. কি পরিমাণ ওষুধ কেনা হবে তা নির্ধারণ করাঃ এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কি পরিমাণ ওষুধ প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা যাবে (যেমন-এক সপ্তাহের জন্য),
- এটা বিগত সপ্তাহের ওষুধ ডিসপেন্সিং এর পরিমাণের উপর নির্ভর করতে পারে;
- আগে কি পরিমাণ ওষুধ ডিসপেন্সিং বা বিক্রয় হয়েছে সে তথ্য বিক্রয় রেজিস্টার বা ওষুধ বিক্রয়ের রশিদসমূহ পর্যালোচনা করে সংগ্রহ করা যেতে পারে;
অনুশীলনী-১: এক সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের পরিমাণ নির্ধারণ করা
পরিস্থিতিঃ
প্রশ্নঃ
প্রক্রিয়াঃ
উত্তরঃ
|
৩. কোথা থেকে ওষুধ সংগ্রহ করা হবে
নিম্নের যে কোন প্রক্রিয়ায় ওষুধ সংগ্রহ করা যেতে পারে:
- ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে সরাসরি সরবরাহের মাধ্যমে;
- লাইসেন্সধারী পাইকারী ওষুধ বিক্রেতার নিকট থেকে;
- লাইসেন্সধারী আমদানিকারকের নিকট থেকে;
- প্রসাধনী সামগ্রীর ক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী প্রসাধনী উৎপাদনকারী কোম্পানি বা পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে;
- লাইসেন্সধারী সাধারণ ব্যবসায়ী/পাইকারী বিক্রেতা যাদের নিকট থেকে glucose পাউডার, ব্লিচিং পাউডার বা সাধারণ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা যেতে পারে;
লাইসেন্সধারী প্রস্তুতকারক বা সরবরাহকারীর কাছে থেকে পণ্য ক্রয়ের সুবিধাসমূহঃ
টীকাঃ ফেরিওয়ালা বা মুদিদোকান থেকে কখনো ওষুধ কেনা উচিৎ নয় কারণ তাতে চুরি করা বা নকল ওষুধ কেনার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। |
ক্রয় আদেশ তালিকার নমুনাঃ
ওষুধের নাম |
ফর্ম/স্ট্রেন্থ |
সরবরাহ |
প্রতি প্যাকের মূল্য |
প্রয়োজনীয় পরিমাণ |
মোট মূল্য |
এমোক্সিসিলিন |
ক্যাপসুল (২৫০ মি.গ্রা.) |
বাক্স (১০০ ক্যাপসুল) |
টা: ৩৫০/- |
২ বাক্স (১০০ ক্যাপ) |
৭০০/- |
এমোক্সিসিলিন সিরাপ |
(১২৫ মি.গ্রা./৫ মিলি) |
১০০ মি.লি. (বোতল) |
টা: ৫০/- |
৫ বোতল |
২৫০/- |
প্যারাসিটামল |
ট্যাবলেট (৫০০ মি.গ্রা.) |
বাক্স (১০০ ট্যাবলেট) |
টা: ১০০/- |
২ বাক্স |
২০০/- |
রেনিটিডিন |
ট্যাবলেট (১৫০ মিগ্রা) |
বাক্স (১০০ ট্যাবলেট) |
টা: ২৫০/- |
৮ বাক্স |
২০০০/- |
খাবার স্যালাইন |
প্যাকেট |
১টা |
টা: ৫/- |
২০ প্যাকেট |
১০০/- |
মোট টাকা প্রয়োজন = তিন হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা মাত্র |
৩২৫০/- |