4.43
(7 Ratings)

রোগ জীবানুনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ (অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স/এএমআর) এবং যক্ষ্মা

Uncategorized
Wishlist Share
Share Course
Page Link
Share On Social Media

Course Content

এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে জীবানুর প্রতিরোধ (অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স/এএমআর)
অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স বা ন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগ জীবানুর প্রতিরোধ বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি সংক্রামক রোগের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। এখন রোগ প্রতিরোধকদের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রতিহত করতে ক্ষুদ্র রোগ জীবানুগুলো সক্ষম হয়ে উঠছে, এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেহে ওষুধ কম কার্যকরী অথবা অকার্যকরী হচ্ছে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত ব্যবহারের কারনে যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স বা রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হচ্ছে, সেটির স্বাভাবিক পরিনতি সহজেই বোধগম্য। নির্বাচনমূলক চাহিদার কারনে ওষুধের রেজিষ্ট্যান্সের সাথে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রনকারী কর্র্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকদের মনোযোগের অভাবসহ অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ব্যবহার সম্পর্কে ভ্রান্তজ্ঞান এবং রোগী ও প্রেসক্রিপশনকারীর মধ্যে অপর্যাপ্ত আলোচনা, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্সের উত্থান ও বিস্তারকে আরো জটিল করে তুলেছে। প্রস্তাবিত চিকিৎসাসহ রোগীর সন্মতি আরেকটি সমস্যা। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধের সহজলভ্যতা বাংলাদেশে ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের মানের অভাব এই উত্থানকে আরো প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্সকে সংক্রামক রোগের ব্যবস্থাপনার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে ঠিকভাবেই তুলে ধরেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য এসেম্বলী রেজুলেশন ১৯৯৮ সদস্য দেশগুলোকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স নিয়ন্ত্রন করার জন্য নীচেরগুলোসহ একাধিক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল: ১. অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের উপযুক্ত ও সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা; ২. কোন যোগ্যতা সম্পন্ন, পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দেয়া প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বিতরন নিষিদ্ধ করা; ৩. সংক্রমনের বিস্তার রোধ করা ও তারপর রেজিষ্ট্যান্ট রোগ জীবানুর বিস্তার রোধ করার কাজে উন্নয়ন ঘটানো; ৪. ভেজালঅ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরন রোধকরা এবং অবৈধ/ বেআইনী বাজারে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বিক্রি রোধ করার আইন শক্তিশালীকরন; ৫. পশু খাদ্য তৈরিতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের ব্যবহার কমানো।

যক্ষারোগ সংক্রান্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদন ২০১৬ এবং ৪০ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পর্যবেক্ষণ মিশন বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর দিনে ২০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর যৌথ পর্যবেক্ষণ মিশনের মতে, যক্ষ্মা এখনো বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ৪০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী এবং ৮০ শতাংশ ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী এখনো শনাক্ত হচ্ছে না। যৌথ পর্যবেক্ষণ মিশন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি মূল্যায়ন করে এই কর্মসূচির বেশ কিছু ত্রুটি ও দুর্বলতাও খুঁজে পেয়েছে। যক্ষ্মা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। তবে অনেক সময় শারীরিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে যক্ষ্মার লক্ষণ সহজে প্রকাশ হয় না। বিপদটা এখানেই, লক্ষণ প্রকাশ না পেলে কেউ চিকিৎসকের কাছে যান না। আবার অনেকে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ সম্পর্কেও খুব একটা ওয়াকিবহাল নন। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য এমনিতে সরকার বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক বা হাসপাতাল, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এনজিও ক্লিনিক ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে বিনা মূল্যে কফ পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়সহ যক্ষ্মার চিকিৎসা এবং ওষুধ দেওয়া হয়। এগুলো নিঃসন্দেহে সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তারপরও দেশে যে হারে মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, এ ক্ষেত্রে আরও কিছু করণীয় রয়েছে। যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত না হওয়াটা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। এ জন্য সচেতনতার দিকে নজর দেওয়া জরুরি। যক্ষ্মা রোগের বিপদ এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে, যাতে দেশের সব মানুষ জানতে পারে। দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যক্ষ্মা শনাক্তকরণের আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ত্রুটি ও দুর্বলতা শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই।

Student Ratings & Reviews

4.4
Total 7 Ratings
5
6 Ratings
4
0 Rating
3
0 Rating
2
0 Rating
1
1 Rating
md-hanif-sarkar
3 months ago
Useful excellent for us
good
SK
11 months ago
Good
md Ibrahim
11 months ago
Thank you better health amader jonnu etho sondur akti program ayjon korar jonnu ....
PC
12 months ago
good
MC
12 months ago
wonderful
Md.Tofael Hosen
12 months ago
Wonderful
Scroll to Top